আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পানির ভূমিকা প্রকাশ করা যায় না। আর তাইতো আমরা প্রত্যেকে নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন উপায়ে পানি সংরক্ষণ করে থাকি।
বিশেষ করে বর্তমান সময়ে আমরা সবাই বিভিন্ন রকম ট্যাংক তৈরি করে এতে পানি সংরক্ষণ করে থাকি এবং পরবর্তীতে আমাদের দৈনন্দিন কাজে আমরা তা ব্যবহার এবং পান করে থাকি। এক্ষেত্রে পানি সংরক্ষণের ট্যাংকটি যদি অপরিষ্কার এবং জীবাণুযুক্ত হয়ে থাকে তাহলে তা হয়ে উটতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কারন এবং কোন কোন সময় তা আপনার প্রানও কেড়ে নিতে পারে।
কেন পানির ট্যাংক পরিষ্কার করা প্রয়োজন??
ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ: একটি নির্দিষ্ট ট্যাংক এ দীর্ঘদিন পানি সংরক্ষণ করা হলে তাতে ময়লা এবং জীবানু জমতে শুরু করে। এই ময়লা এবং জীবানুগুলো পানিকে দূষিত করে এবং পানতে দূর্ঘন্দের সৃষ্টি করে
স্বাস্থ্য ঝুঁকি: দূষিত পানি ব্যাবহারে পরবর্তীতে আমরা নানাবিধ সাস্থ্যসমস্যা এবং জটিলতায় ভুগি। যেমন পানিবাহিত রোগ টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের কারণ দূষিত পানির ব্যাবহার।
ট্যাংক এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করন: নির্দিষ্ট ট্যাংক এ দীর্ঘদিন পানি সংরক্ষণ করতে থাকতে ট্যাংক এর গায়ে আয়রন জমতে থাকে যা ট্যাংক এর দেওয়াল ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক পর্যায়ে আয়রন অপসারণ করা না হলে পানির ট্যাক ডেমেজ হয়ে যায়, এবং ট্যাংকটি পানি সংরক্ষণের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। তাই বলা যেতে পারে নিয়মিত ট্যাংক পরিষ্কার করা হলে দীর্ঘদিন ট্যাংককে পানি সংরক্ষণ এর জন্য উপযুক্ত রাখা সম্ভব হয়।
এখন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ট্যাংক পরিষ্কার করা উচিৎ
পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার সময়কালে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা অবশ্যই উচিৎ। এবং এই নিয়মগুলো মেনে যদি পানির ট্যাংক পরিষ্কার করা যায় তাহলে আপনি আপনার ব্যবহৃত পানিকে নিরাপদ ও সাস্থ্যবান্ধব করে তুলতে সক্ষম হবেন।
চলুন এইবারে পানির ট্যাংক ক্লিনিং এর আন্তর্জাতিক নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক
প্রথম ধাপ: ট্যাংক এর পানি অপসারণ। তবে পানির অপচয় রোধে পূর্বেই ট্যাংক এর পানি ব্যাবহার করে ফেলা উত্তম। অন্যথায় যেকোন ধরনের নিষ্কাশন ব্যাবস্থা কিংবা পাম্প ব্যবহার করে ট্যাংক এর পানি অপসারণ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: সম্পূর্ণ ট্যাংকটি খালি করার পর একটি ভালোমানের জীবানু নাশক ট্যাংক এর দেওয়ালে ছিটিয়ে নিন। এর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন
তৃতীয় ধাপ: মাজনি কিংবা ব্রাশ ব্যাবহার করে ট্যাংক এর দেওয়ালগুলো ভালোভাবে ঘসে পরিষ্কার করুন
চতুর্থ ধাপ : ভালোমানের ক্লিনিং সলিউশন ব্যবহার করুন।
পঞ্চম ধাপ : ট্যাংকটিকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোকরে ধুয়ে ফেলুন।
ষষ্ঠ ধাপ : এই পর্যায়ে পানির ট্যাংকটিকে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এতে করে ট্যাংক এ কোন ক্ষতিকর জীবাণু অবশিষ্ট থাকলেও তা বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে
নিয়মিত পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার উপকারীতা
নিয়মিত পানির ট্যাংক পরিষ্কারের বেশ কিছু উপকারীতা রয়েছে তা এই পর্যায়ে আপনাদের নিকট তুলে ধরবো।
১। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা: পানির ট্যাংক যদি থাকে সুরক্ষিত এবং জীবানু মুক্ত তাহলে বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা আপনি থাকবেন একধাপ এগিয়ে। তাছাড়াও বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করনে আপনি থাকবেন পানি বাহিত রোগ থেকে মুক্ত।
২। দীর্ঘদিন ট্যাংক রক্ষা: নিয়মিত পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার ফলে আপনার ব্যবহৃত পানির ট্যাংকটি থাকবে ড্যামেজমুক্ত। ফলে ট্যাংকটি দীর্ঘদিন ব্যবহার এর উপযুক্ত থাকবে
৩। এলার্জি ও স্কিনের সমস্যা: দুষিত পানি ব্যবহারে আপনার স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের স্কিনে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি দেখা দিতে পারে দুষিত পানি ব্যবহার এর ফলে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবহারের ফলে এই সকল জটিলতা দূর করা সম্ভব হয়
Post a Comment